মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় প্রেমিককে গালমন্দ করায় ধারালো ছুরি দিয়ে প্রেমিকার গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে প্রেমিক যুবক। প্রেমিকের হাতে গুরুতর আহত প্রেমিকা মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।রোববার মধ্যরাতে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের ভাগলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলাকারী প্রেমিক তৌহিদুর রহমান ওরফে তানিস উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। সে নহল চৌমুহনী গ্রামে তার মামার বাড়িতে থাকত।আহত তারজিন আক্তার (১৯) ভাগলপুর গ্রামের হোসেন মোল্লার মেয়ে।
স্থানীয়রা হামলাকারীকে আটক করে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ করেন। এরপর পুলিশি পাহারায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলাকারী প্রেমিক তৌহিদুর রহমান বলেন, তারজিন আক্তারের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ইদানীং সে আমাকে সন্দেহ করছে।
রোববার রাতে ফোনে কথা বলার সময় একপর্যায়ে সে আমাকে গালমন্দ করে এবং আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এতে আমার মাথা গরম হয়ে যায়। এরপর সঙ্গে একটি ছুরি নিয়ে রাতেই আমি তারজিনের বাড়িতে যাই। গিয়ে রুমের মধ্যে তার সঙ্গে কথা বলি। সে তখন আবারো আমাকে গালমন্দ করে। তখন আমার সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে তাকে আঘাত করি। এ কাজটা করা আমার মোটেও ঠিক হয়নি।আহত তারজিন আক্তারের চাচাতো বোন তাসলিমা আক্তার বলেন, রাত ২টার দিকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আমরা বের হয়ে দেখি বিছানার উপরে তানজিন গলাকাটা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ছেলেটাকে কয়েকজনে ধরে রাখছে। তারপর তানজিনকে পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশ এসে হামলাকারী ছেলেটাকে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউসুফ মোল্লা বলেন, ঘটনাটি অমানবিক ও হৃদয়বিদারক। মেয়েটার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তুচ্ছ বিষয়ে এমন হামলার ঘটনা কোনো সুস্থ মানুষ করতে পারে না। আমরা তার কঠিন বিচার চাই।
মুরাদনগর থানার ওসি মাহবুবুল হক বলেন, ঘটনায় হামলাকারী পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলেই মামলা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।