আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কোন প্রক্রিয়ায় ভারত থেকে দেশে ফেরত আনা হবে, সেই প্রক্রিয়ার কথা তুলে ধরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। শুক্রবার সকালে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি তিনি তুলে ধরেন।
প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে জানিয়েছে আসিফ নজরুল বলেন, ‘২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এই চুক্তি করার সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কল্পনাও করেননি, এই চুক্তির অধীনে ওনাকে চাওয়া হতে পারে।
এই চুক্তি যদি ভারত ঠিকমতো পালন করে, তাহলে অবশ্যই শেখ হাসিনাকে তাদের ফেরত দেওয়া উচিত। কারণ এই চুক্তিতে আছে, কারো বিরুদ্ধে যদি প্রসিডিং শুরু হয়, শুধু চার্জশিট হলে বা শাস্তি পেলে না প্রসিডিং শুরু হলেই তাকে প্রত্যপর্ণের জন্য এক দেশ আরেক দেশের কাছে চাইতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই চুক্তিতে বলা আছে, পলিটিক্যাল অপেন্স হলে চাওয়া যাবে না। আবার বলা আছে, মার্ডারকে পলিটিক্যাল অপেন্স ধরা যাবে না।
গুরুতর আঘাত করা, এগুলোকে এক্সটার্মিনেশন করা, যা পলিটিক্যাল অপেন্স ধরা হবে না। এখন ভারত যদি এই চুক্তিকে নিজের ইচ্ছামতো ব্যাখ্যা করে, তাহলে আমাদের শক্ত ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে অত্যন্ত কড়াভাবে প্রতিবাদ করা হবে।’ আসিফ নজরুল বলেন, ‘একটা হত্যা হলে এক দেশ আরেক দেশ থেকে বন্দি নিয়ে আসতে পারে।এই চুক্তির ফলে আনাও হয়েছে। আন্দোলনে হাজারের বেশি খুন হয়েছে, সেখানে আনা যাবে না?’
যদি অভিযোগ ওঠে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এই বিচার হচ্ছে না, তখন আপনারা কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিচার হচ্ছে না এ ধরনের এক্সসেপশন এখানে নেই। বলছে- সরল বিশ্বাসে করা হচ্ছে না। বিচার প্রক্রিয়া তো পরে, সরল বিশ্বাসে করা হচ্ছে না। তাহলে কি কুটিল বিশ্বাসে করা হচ্ছে? যদি…ব্যাখ্যা দেয় আমাদের কাউন্টার অনেক লিগ্যাল আর্গুমেন্ট থাকবে।আমরা এটা ছাড়ব না। আমি খুবই কনফিডেন্ট, এই চুক্তি যদি সততার সঙ্গে ইন্টারপ্রেট করে, তাহলে অবশ্যই ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে বাধ্য।’