আওয়ামী লীগকে তাদের কর্মের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক মো. সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে অবৈধ এবং ভণ্ডামির নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যেতে পারে।’শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মাদারীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাদারীপুরে হতাহতদের পরিবার ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে একটি ধর্ম বানানো হয়েছিল, যেই ধর্মের ধর্মগ্রন্থ ছিল তিনটি, তা হলো অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়াচীন, এই তিনটি ছিল এই ধর্মের ধর্মগ্রন্থ, এই ধর্মের একটি পোশাক ছিল মুজিব কোট এবং এই ধর্ম পরিচালিত হতো একাত্তরের চেতনায়।
একাত্তরের চেতনা দিয়ে দেশটাকে লুটপাট করেছে, পদ্মা সেতু করতে গিয়ে অর্ধেক টাকা দেশের বাইরে পাচার করে। তারা ১৬ বছরে দেশের ও দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেনি, তারা রাজনীতি করেছে গোপালগঞ্জের জন্য, দেশের টাকা লুটপাট করার জন্য। বড় বড় ব্যবসায়ী মাফিয়া তৈরি করেছে; যাদের দিয়ে এ দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে কালো টাকার পাহাড় গড়েছে।’সারজিস আরো বলেন, ‘যে সরকার আপনার মূলনীতি থেকে গণতন্ত্র কেড়ে নিয়েছে, সংবিধানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে এর জন্য তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে।
মতবিনিময়সভায় সারজিস বলেন, ‘আগে ছিল মাদারীপুরের মাটি শাজাহান খানের ঘাঁটি, এখন হবে মাদারীপুরের মাটি ছাত্র-জনতার ঘাঁটি। তাই ব্যক্তি স্বার্থ বাদ দিয়ে বৃহত্তম সার্থকে গুরুত্ব দিয়ে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।’
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাদারীপুরে নিহত ও আহতদের পরিবার ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় সমন্বয়ক হিমুর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন হেমায়েত হোসাইন হিমেল, জাবের বিন নূর, মুফাস্সির হোসেন, আসরাফা খাতুন, আসিফুর রহমান আসিফসহ একাধিক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক।এর আগে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে মাদারীপুর পৌরসভার হলরুমে মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘কেউ কল্পনাও করতে পারে নাই শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাবে।