কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যৌথবাহিনী রাতভর অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, ককটেল, দেশীয় অস্ত্রসহ যুবদল, ছাত্রদল ও যুবলীগের তিন নেতাকে আটক করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে আজ শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত উপজেলার পিয়ারপুর ও জগন্নাথপুর গ্রামে এই অভিযান চালানো হয়।আটক ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান জহুরুল করীম বিশ্বাসের ছেলে স্থানীয় ছাত্রদল নেতা জারিফ হাসান জেমি, পিয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আশরাফুল আলম সোহাগ এবং একই ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।
যৌথবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অংশ হিসেবে গত রাতে জহুরুল করীম বিশ্বাসের বাড়ি থেকে দুটি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও ১৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাঁর ছেলে ছাত্রদল নেতা জিমি করিম বিশ্বাসকে আটক করে যৌথবাহিনী। পরে তাঁর চাচাতো ভাই আশরাফুল আলম সোহাগের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি একনলা দেশি বন্দুক ও ৯টি ককটেলসহ তাঁকে আটক করা হয়। এ সময় অভিযান চালিয়ে একটি শটগান, বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ জাহাঙ্গীর হোসেনকে আটক করা হয়। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রাজ্জাকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি শটগান ও পাঁচটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। এ সময় রাজ্জাক বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। আজ দুপুরে উদ্ধার গোলাবারুদসহ তাঁদের দৌলতপুর থানায় সোপর্দ করা হয়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আওয়াল কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অংশ হিসেবে যৌথবাহিনী এ অভিযান চালায়। আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি বেনজির আহমেদ বাচ্চু বলেন, ‘আশরাফুল আলম সোহাগ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। যত দূর জানি, তাঁর চাচার বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তাঁর চাচাতো ভাই জেমিও ছাত্রদল করে। তবে এখনো কোনো পদ-পদবিতে আসতে পারে নাই। সোহাগের বাড়ি থেকে অস্ত্র পাওয়া গেলে তাঁকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’