Title :
২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ শেখ হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার কাণ্ডের অনুসন্ধান শুরু তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সংগীত শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলীর সাক্ষাৎ আজ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত হবেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ বাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন বাংলাদেশ ইকোনমিস্ট’র ‘কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার ২০২৪’ নির্বাচিত শনিবার ঢাকায় রাহাত ফতেহ আলীর কনসার্ট : টোল ফ্রি এক্সপ্রেসওয়ে একাত্তরের অমীমাংসিত সমস্যা মীমাংসা করুন : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মৃত্যুপথযাত্রী রোগীকে বাঁচাতে খেলনা পিস্তল নিয়ে ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টাঃ এসপি ক্যান্সারের টিকা তৈরি রাশিয়ার, শিগগিরিই বিনামূল্যে বিতরণ

শেখ হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার কাণ্ডের অনুসন্ধান শুরু

  • Update Time : সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ০ Time View

*সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকের ১৬ ব্যাংক হিসাবে ২১ কোটি টাকা

*অবৈধ সম্পদ অর্জনে সাবেক এমপি রিমনের নামে মামলা

*সাদপন্থি মুখপাত্র মুয়াজ বিন নূর রিমান্ডে

*সাবেক এমপি সালাম মুর্শেদী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও লন্ডনে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদিকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১৬টি ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। হিসাবগুলোতে প্রায় ২১ কোটি টাকা জমা রয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক। অপরদিকে ৩৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ১৬৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অন্যদিকে খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতা সালাম মুর্শেদীকে আলাদা চারটি মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এছাড়া সাদপন্থিদের মুখপাত্র মুয়াজ বিন নূরের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুদক ও আদালত সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও লন্ডনে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র। এর আগে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের টিম গঠন করেছিল দুদক। ওই টিমকেই ৩০০ মিলিয়ন ডলারের পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে তার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ হতে থাকে।অভিযোগ উঠেছে, ৯ প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। এই অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কাজ শুরু হয়।দুদকের অনুসন্ধান দলের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প, বেপজাসহ ৯টি প্রকল্পে এসব অনিয়ম-দুর্নীতি করা হয়েছে।অপরদিকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১৬টি ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। হিসাবগুলোতে প্রায় ২১ কোটি টাকা জমা রয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক। এসব হিসাব ইতোমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুদক জানায়, আনিসুল হকের ১৬টি ব্যাংক হিসাবের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক বনানী শাখার ছয়টি হিসাবে ৫ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। এছাড়া একই ব্যাংকে অন্য এক হিসাবে এসসি গোল্ডেন বেনিফিটস হিসেবে ৫০ লাখ ৮১ হাজার টাকা রয়েছে। সংস্থাটি আরও জানায়, সিটিজেন ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের ৯টি হিসাবে ১৫ কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। এসব টাকা নিজের ও নিকটাত্মীয়দের নামে ডিপোজিট হিসেবে রয়েছে। এর মধ্যে সিটিজেন ব্যাংকের গুলশান শাখার পাঁচটি হিসাবে আশেকুছ সামাদ ও জেবুন্নেছা বেগম হকের নামে ৯ কোটি কোটি ৮৭ লাখ ৫২ হাজার ১১২ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট পাওয়া গেছে। এ দুজন আনিসুল হকের ভাই-বোন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় আনিসুল হকের তিনটি ব্যাংক হিসাবে যথাক্রমে চার কোটি ১৩ লাখ ১৩ হাজার, ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ও ৮৪ লাখ ২৮ হাজার টাকার জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে তিনটি ব্যাংকে আনিসুল হক ও তার পরিবারের নামের প্রায় ২১ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাই চলছে বলে জানিয়েছেন দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা। এসব হিসাব ফ্রিজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ওই টাকা তার আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদন দিলে আইন অনুযায়ী কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।আনিসুল হক ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গত ৭ অক্টোবর থেকে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ফারহানা ফেরদৌস নামে অপর এক সহযোগীর বিরুদ্ধে আসা পৃথক আর একটি অভিযোগও অনুসন্ধান করছে দুদক।অন্যদিকে ৩৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ১৬৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া ২ কোটি ৫২ লাখ ৮৪ হাজার ৫৮২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে রিমনের স্ত্রী রওনকের সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলেছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি। রোববার (২২ ডিসেম্বর) এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম।মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি হাচানুর রহমান রিমনের নিজ নামে সর্বমোট ৩৫ কোটি ৯৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬৮৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করার তথ্য/রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়। একই সময়ে তার নামে দায়-দেনার পরিমাণ পাওয়া যায় ১৫ কোটি ২৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯৯৭ টাকা। দায়- দেনা বাদে শওকত হাচানুর রহমান রিমনের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২০ কোটি ৭৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯০ টাকা। ১৯৯৪-১৯৯৫ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষে তার মোট পারিবারিক ব্যয় ১৬ কোটি ৩৫ লাখ ৯ হাজার ৮৪৫ টাকাসহ অর্জিত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৭ কোটি ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৫৩৪ টাকা। বিপরীতে গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ১ কোটি ১১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭০ টাকা টাকা। এ ক্ষেত্রে আসামি ৩৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ১৬৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক।দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, হাচানুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।দুদক সূত্র জানায়, সাবেক এই এমপির নামে বরিশালের আগরপুর রোড, রূপাতলী, জাগুয়া, দক্ষিণ আলেকান্দায়, ঢাকার নলটোনা, বরগুনার পাথরঘাটায় মোট ১ কোটি ৫১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৩ টাকার অ-কৃষি জমি রয়েছে। এছাড়া বরগুনার কাঠালতলী, মাদারতলী, রায়হানপুর, গহরপুর, চরলাঠিমারা মৌজাসহ বিভিন্ন এলাকায় ৫৮ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের কৃষি জমি রয়েছে। তার নিজ নামে ব্যবসার পুঁজি রয়েছে ১৫ কোটি এক লাখ ৮৩ হাজার ৬৪০ টাকা এবং ৪৬ লাখ টাকার অন্যান্য বিনিয়োগ রয়েছে।দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ১৬ অক্টোবর দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে শওকত হাচানুর রহমানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। সাবেক এই সংসদ সদস্যের নিজ নামে ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো, মাইক্রো বাস, টয়োটা প্রিমিও কারসহ ৩টি গাড়ি, স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ও নগদ ১৮ লাখ ৫০ হাজার ৫৪০ টাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে বলে দুদক গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।এদিকে সাদপন্থিদের মুখপাত্র মুয়াজ বিন নূরের (৪০) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত ১৮ ডিসেম্বর টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে তিন মুসল্লি নিহতের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলায় রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইসকান্দার হাবিবুর রহমান। এর আগে ২১ ডিসেম্বর ভোররাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।পুলিশ জানিয়েছে, রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মুয়াজকে এজলাসে নিয়ে আসা হয়। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। তবে গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর আল মামুন শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাজধানীর উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের নূর মোহাম্মদের ছেলে মুয়াজ। তিনি সাদপন্থিদের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। জুবায়েরপন্থিদের দায়েরকৃত হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি। পুলিশ আরও জানায়, টঙ্গী ইজতেমা মাঠে তিন মুসল্লির নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় মুয়াজকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ২১ ডিসেম্বর আদালতে হাজির করলে আদালত গতকাল রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। সেই ধার্যকৃত দিনেই শুনানি শেষে তার এ রিমান্ডের আদেশ দেন।অপরদিকে খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতা সালাম মুর্শেদীকে আলাদা চারটি মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে পুলিশ প্রহরায় তাকে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ হাজির করা হলে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। সাবেক এই তারকা ফুটবলারকে আদালতে তোলা হলে শতাধিক উৎসুক জনতা ভুয়া ভুয়া সেøাগান দিতে থাকে।আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যোগদানের জন্য নদীপথে ট্রলারযোগে রওনা হয় দলীয় নেতাকর্মীরা। দিঘলিয়া উপজেলার চন্দনীমহল (কাঁটাবন) ঘাটে কিছু নেতাকর্মী অবস্থান করছে এমন খবরে সেখানে যান ফুলতলা উপজেলা বিএনপির নেতা কাজী আনোয়ার হোসেন বাবু। চন্দনীমহল ঘাটে পৌঁছানোর সাথে সাথে আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলায় বিএনপির নেতা কাজী আনোয়ার হোসেন বাবুসহ বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হন।মামলার বাদী বিএনপির নেতা কাজী আনোয়ার হোসেন বাবু বলেন, সেদিন আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য ট্রলারযোগে খুলনায় যাচ্ছিলাম। ওই দিন আসামিরা আমাদের ট্রলারে উঠে আমাদের ওপর অমানবিক অত্যাচার করে। আমাদের লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো পাথর ছোড়ে তারা। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে দিঘলিয়া থানায় ২১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই বিএনপি নেতা। মামলায় সালাম মুর্শেদী ৯ নম্বর আসামি।কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. শাহাজাহান বলেন, দিঘলিয়ার ৩টি ও ফুলতলার একটি মামলায় রোববার (২২ ডিসেম্বর) সাবেক সংসদ সদস্য সালাম মুশেদীকে দুটি পৃথক আদালতে হাজির করা হয়। তার আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করলে তা নামঞ্জুর হয় এবং চারটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জেলা পিপি অ্যাডভোকেট তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষার ও মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট শহীদুল আলম।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © প্রভাতের পত্র
Customized BY NewsTheme