শ্রীলঙ্কায় আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে বড় জয় পেলো দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমার দিশানায়েকের বামপন্থী জোট ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি)।
শুক্রবার পর্যন্ত প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গিয়েছে, অন্তত ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছে বাম জোটের পক্ষে। পার্লামেন্টের ২২৫টি আসনের ১৫০টিই জিতে নিয়েছে তারা। ১৯৪৭ সালের পর প্রথমবার জাফনা জেলায় বিপুল ভোট পেয়েছে তারা। অন্যদিকে দিশানায়েকের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাসার দলের ঝুলিতে মাত্র ১৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। শ্রীলঙ্কা পুলিশের দাবি, শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হয়েছে। অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন পার্লামেন্ট নির্বাচনে। ভোট দেওয়ার পর অনুরা বলেছিলেন ‘আমরা একটি শক্তিশালী পার্লামেন্ট গঠনের জন্য ম্যান্ডেট পাওয়ার আশা করছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে জনগণ আমাদের এই ম্যান্ডেট দেবে।’
শ্রীলঙ্কার বামপন্থী দল জনতা ভিমুক্তি পেরামুনার নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার জোট। গতবার পার্লামেন্ট নির্বাচনে এই জোট মাত্র তিনটি আসন পেয়েছিল। খুব অল্প সময়ের জন্য কৃষিমন্ত্রীও হয়েছিলেন দিশানায়েক। কিন্তু ধীরে ধীরে তৎকালীন রাজাপাকসে সরকারের থেকে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে বামপন্থী জোটের। তার পরেই বিরাট আর্থিক সংকট শুরু হয় দ্বীপরাষ্ট্রে। সেই বেহাল দশা কাটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে বিপুল ভোটে জয়ী হন দিশানায়েক। অনুরা বলেন, শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন এসেছে, যার শুরু গত সেপ্টেম্বরে। এই পরিবর্তন অবশ্যই অব্যাহত থাকবে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, পার্লামেন্টে অনুরা জোটের আসন বাড়ার অর্থ হবে, তাঁর হাত শক্তিশালী হওয়া। সে ক্ষেত্রে তিনি অর্থনীতিসহ অন্যান্য নীতি বাস্তবায়নে গতি আনতে সক্ষম হবেন। ২০২২ সালে অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যায় বহুগুণ। আইএমএফ-র থেকে ২.৯ বিলিয়নের একটি ‘বেল আউট’ পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার প্রাইভেট সেক্টর, সিলন চেম্বার অফ কমার্স অবশ্য দিশানায়েকের দিকেই ঝুঁকে আছে।