টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের আমিরুল ইসলাম বাচ্চু (৭০), ফরিদপুরের বিল্লাল হোসেন (৬০) ও বগুড়ার তাজুল ইসলাম (৭০) এবং আরেকজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার নাজমুল করিম খান জানান, রাত ৩টার দিকে মাওলানা সাদের অনুসারীরা অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের চেষ্টা করলে সহিংসতার সূত্রপাত হয়।সংঘর্ষে চারজন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন। ৩৫ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে সাতজনকে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সহিংসতার জন্য দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।উভয় পক্ষের সাথে বৈঠকের পরে তিনি বলেন, আলোচনা চলছে। সরকার বিরোধ নিষ্পত্তি করতে এবং আহতদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।জুবায়ের অনুসারীদের জন্য প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং সাদপন্থীদের ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।তবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে।চার প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করে অনুষ্ঠানস্থলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।এছাড়া আশপাশের এলাকায় জমায়েত, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।জুবায়েরপন্থীদের অন্যতম নেতা মাওলানা মামুনুল হক বাংলাদেশবিরোধী শক্তির সাথে যোগসাজশের অভিযোগ তুলে সাদের অনুসারীদের ইজতেমার সমাবেশ আয়োজনে সরকারের নিষেধাজ্ঞা দাবি করেছেন।সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় মামলা দায়েরের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।জুবায়েরপন্থী মুখপাত্র মুফতি আমানুল হক বলেন, সাদের অনুসারীরা না চলে গেলে ইজতেমা মাঠ দখল করা হবে। তিনি লংমার্চের হুমকিও দিয়েছেন।কাকরাইল মসজিদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভবিষ্যতে কাকরাইল মসজিদে কোনো সাদ অনুসারী প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে উভয় পক্ষ শান্তি বজায় রাখতে এবং আরো সংঘর্ষ এড়াতে সরকারের অনুরোধের প্রতি সম্মান জানিয়ে ইজতেমা মাঠ সাময়িকভাবে খালি করতে সম্মত হয়েছে।সূত্র : ইউএনবি